আখলাকুন্নবী (ﷺ)
أخلاق النبي وآدابه لأبي الشيخ الأصبهاني
আল্হামদুলিল্লাহ্। মানুষ আল্লাহর খলীফা বা প্রতিনিধি। এই প্রতিনিধির দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেয়ার জন্য রাব্বুল আলামীন যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। তাঁরা আল্লাহ্ তা'আলার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। তাই তাঁদের কথা, কাজ ও আচরণ অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ ও সৌন্দর্যমণ্ডিত। আমাদের নবীজী সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন, “তোমাদের জন্য রাসূলের জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ”(৩৩ঃ ২১)।
আল্লাহ্ তা'আলা যাঁর পবিত্রতা সম্পর্কে প্রশংসাপত্র দান করেন তাঁর চরিত্র যে কত উন্নত, কত মহান ও মহীয়ান হতে পারে তা কারও পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব নয়। তাই লক্ষ্য করছি, নবী চরিতের যে দিকটিই পড়ছি তাতেই তাঁকে সুশোভিত দেখতে পাচ্ছি। এজন্যই আল্লাহ্ পাক কুরআন মজীদে আমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন : “রাসূল তোমাদের যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদের বিরত থাকতে বলেন তা থেকে বিরত থাক”(৫৯:৭)। তাঁর প্রতিটি কথা, প্রতিটি আচরণ, প্রতিটি কাজ, প্রতিটি ভংগী অনুসরণযোগ্য। মহানবী (সা)-এর অনুসরণ করতে হলে তাঁর জীবন চরিত সম্পর্কে গভীর অধ্যয়নের প্রয়োজন।
এ প্রয়োজন পূরণের তাগিদেই মুহাদ্দিস আবূ শায়খ ইবন হায়্যান ইসফাহানী (মৃঃ ৩৬৯হিজরী) আলোচ্য গ্রন্থখানি প্রণয়ন করেন। গ্রন্থখানিতে নবীচরিত সম্পূর্ণরূপে হাদীস ভিত্তিতে আলোচনা করা হয়েছে। এটা ধারাবাহিক কোন জীবনী গ্রন্থ নয়। গ্রন্থখানির উর্দূ অনুবাদকের ব্যাখ্যাও কোথাও হুবহু, কোথাও সংক্ষেপে এবং কোথাও সংযোজন সহ পেশ করা হয়েছে।
বস্তুত ইসলামে আকীদা-বিশ্বাস ও অবশ্যপালনীয় ইবাদতের পরেই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে “আখলাক বা চরিত্র-নৈতিকতা। সদাচার, সদ্ব্যবহার, সৎস্বভাব, মনুষ্যত্ব, ভদ্রতা, দয়া সবই আখলাক তথা মানব চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত। যার চরিত্র যত উন্নত সে তত মহৎ মর্যাদার অধিকারী। যার আচার-ব্যবহার খারাপ তাকে কেউই পছন্দ করে না। তাই চরিত্রের উন্নতি সাধন করতে হলে মহানবী (সা)-কে অবশ্যই মানদণ্ড হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। আলোচ্য গ্রন্থখানিতে সেই আদর্শ মানদণ্ডই আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। গ্রন্থখানি পাঠে পাঠক-পাঠিকাগণ এবং বিশেষত নবী-প্রেমিকগণ বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হবেন।
গ্রন্থখানি নবী চরিতের উত্তম বর্ণনাধারা আমাদেরকে এর অনুবাদে দারুণভাবে উৎসাহিত করেছে। এর বিনিময় এ জগতে নয়, আখিরাতে পাবার আশায় আমরা গ্রন্থখানির রয়্যালটি বাবদ প্রাপ্য মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানার জন্য ওয়াকফ করে দিলাম। আল্লাহ্ পাক আমাদের এ মেহনতকে ইবাদত হিসাবে কবুল করুন। আমীন!
কোন কোনও রিওয়ায়াতে আছে আল্লাহ্ তা'আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের ভালবাসা লাভের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে উত্তম চরিত্র অবলম্বন করা। এক হাদীসে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন أحب عباد الله إلى احسنهم اخلاقا "আল্লাহ্ তা'আলার নিকট তাঁর প্রিয়তম বান্দা হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার চরিত্র সবচেয়ে অধিক ভাল।” (তাবারানী)
অপর এক রেওয়ায়েতে আছেঃ ان من احبكم الى واقربكم مني في الآخرة مجلسا أحاسنهم اخلاقا - “তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় এবং আখিরাতে আমার মজলিসসমূহে আমার সবচেয়ে নিকটতম হবে সেই ব্যক্তি যে সর্বাপেক্ষা উত্তম চরিত্রের অধিকারী।”
শামায়েল ও আখলাক সম্পর্কিত গ্রন্থরাজি একথার সাক্ষী যে, সাহাবায়ে কিরাম প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সমস্ত সুন্দরতম আচার-আচরণ, স্বভাব-চরিত্র ও রীতি-নীতি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করেছেন। তাঁরা তাঁদের বর্ণনা দ্বারা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিয়েছেন। অতঃপর তাবেঈন ও তাবে-তাবেঈন এবং হাদীসের হাফিযগণ এই অমূল্য রত্নের সযত্ন রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন এবং মাগাযী, সীরাত, শামায়েল ও আখলাক শিরোনামে স্বতন্ত্র গ্রন্থ সংকলন করেছেন। খুব সম্ভব এ বিষয়ে সর্বপ্রথম গ্রন্থ রচনা করেন ইমাম বুখারী (র)-এর উস্তাদবৃন্দের উস্তাদ ইমাম মুহাম্মাদ ইবন মুসলিম ইবন শিহাব মুহরী (র) (মৃত্যু ১২৪ হিজরী)। অতঃপর এ ধারা অব্যাহত থাকে। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয় কালের উলামায়ে কিরাম এ সম্পর্কে বহু মূল্যবান গ্রন্থ সংকলন করে এই রত্নভাণ্ডারের হিফাযত করেছেন। আল্লামা শিবলী (র) তাঁর গৌরবময় গ্রন্থ 'সীরাতুন নবী'-তে সেই সকল মুহাদ্দিসের একটি দীর্ঘ তালিকা পেশ করেছেন, যাঁদেরকে সীরাত বিষয়ের নির্ভরযোগ্য স্তম্ভ রূপে গণ্য করা হয়।তাঁদের মধ্যে নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গ সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য।
হযরত আবূ বকর (রা)-এর দৌহিত্র উরওয়া ইবন যুবায়র (র) (মৃত্যু ৯৪ হিজরী); হযরত শাবী (র) (মৃত্যু ১০৯ হিজরী); ইবন কাতাদা আনসারী (র) (মৃত্যু ১২৪ হিজরী) মাগাযী ও সিয়ার সম্পর্কে তাঁদের বিপুল জানাশোনা ছিল। ইমাম যুহরী (র); মূসা ইবন উকবা আসাদী (র) (মৃত্যু ১৪১ হিজরী); প্রসিদ্ধ সীরাত সংকলক হিশাম ইবন উরওয়া (র) (মৃত্যু ১৪৬ হিজরী); মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) (মৃত্যু ১৫০ হিজরী); উমার ইবন রাশিদ আলী (র) (মৃত্যু ১৫২ হিজরী); (সীরাত সম্পর্কে তাঁর রচনা المغازى ' একখানি সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ) মুহাম্মাদ ইবন উমার আল ওয়াকিদী (র) (মৃত্যু ২০৭); উমর ইবন গুহব বসরী (র) (মৃত্যু ২৬২ হিজরী); মুহাম্মাদ ইবন ঈসা তিরমিযী (র) [মৃত্যু ২৭৯ হিজরী]; যিনি সিহাহ্ সিত্তা সংকলকদের অন্যতম এবং সীরাত ও শামায়েল বিষয়ক সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ 'শামায়েলে তিরমিযী'-এর রচয়িতা। এ ছাড়াও অনেক বড় বড় মনীষী রয়েছেন, আল্লামা শিবলী (র) যাঁদের নাম উল্লেখ করেন নি। নিম্নে এরূপ কতিপয় মনীষীর নাম উল্লেখ করা গেল।
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আবু শায়খ ইবন হাযান ইসফাহানী (মৃত্যু ৩৬৯ হিজরী। তিনি সুবিখ্যাত গ্রন্থ أخلاق النبي صلى الله عليه وسلم وآدابه -এর রচয়িতা। সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ যার তরজমা আপনাদের সম্মুখে পেশ করা যাচ্ছে। হাফেয আবূ বাকর মাকরীযী (র) [মৃত্যু ৩৮১ হিজরী]; তিনি الشمائل নামক গ্রন্থের রচয়িতা। হাফিয আবুল আব্বাস মুসতাগফিরী (র) [মৃত্যু ৪৩২] এবং الأنوار فى شمائل النبي المختار শীর্ষক গ্রন্থের রচয়িতা হাফিয আবূ মুহাম্মাদ হুসায়ন ইবন মাসউদ বাগাবী (র) মৃত্যু ৫১৬ হিজরী। এঁরা সকলে স্বনামধন্য মনীষী এবং প্রাচীন সিয়ার ও মাগাযী সংকলক। তাঁদের পরবর্তীকালেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস ছিলেন। এ সংক্ষিপ্ত ভূমিকায় তাঁদের তালিকা দেওয়া সম্ভব নয়। তজ্জন্য ইসলামী গ্রন্থাগারসমূহের শরণাপন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ أخلاق النبي صلى الله عليه وسلم وآدابه -এর রচয়িতা হাফিয আবূ মুহাম্মদ আবূ শায়খ আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন জাফর ইবন হায়্যান আনসারী ইসফাহানী। তিনি ২৭৪ হিজরী মুতাবিক ৮৮৭ খৃস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র দশ বছর বয়সে তিনি হাদীস অধ্যয়ন শুরু করেন এবং বড় বড় মুহাদ্দিসের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উস্তাদবর্গের মধ্যে স্বীয় নানা মাহমূদ ইবন ফারাজ (র), শায়খ ইবরাহীম ইবন সা'দান (র), আবূ বাকর ইবন আবূ আসিম (র) ও হাফিয আবূ ইয়ালা (র) উল্লেখযোগ্য। অনুরূপ তাঁর উল্লেখযোগ্য শিষ্য হচ্ছেন হাফিয আবূ বাকর ইবন মারদাওয়ায়হ (র), হাফিয আবু সাদ আল-মালানী (র), হাফিয আবূ নুআয়ম ইসফাহানী (র) প্রমুখ। হাফিয আবূ নুআয়ম তাঁর دلائل النبوة ও حلية الأولياء" গ্রন্থ দু'টিতে আবূ শায়খ (র) সূত্রে বহু হাদীস উদ্ধৃত করেছেন। তাঁর রচনাবলির মধ্যে أخلاق النبي - الأذان - الأحكام العظمة - التفسير النتف - النوادر- التوبيخ - ثواب الأعمال - وآدابه صلى الله عليه وسلم প্রভৃতি বিখ্যাত। তবে এখন পর্যন্ত সব পাণ্ডুলিপি আকারে সংরক্ষিত একমাত্র আখলাকুন নবী ছাড়া । আবূ মানদা (র), হাফিয আবূ বাকর খাতীব (র), হাফিয আবূ নুআরম ইসফাহানী (র), হাফিয যাহাবী (র) প্রমুখ তাঁর সপ্রশংস প্রত্যয়ন করেছেন। তাঁর ছাত্র আবূ নুআয়ম ইসফাহানীর বর্ণনামতে তিনি মুহাররাম ৩৬৯ হিজরীতে ইন্তিকাল করেন।
আল্লাহ্ তা'আলা শায়খ আবুল ফাদল আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ সিদ্দীক (র)-কে উত্তম বদলা দিন। তিনি মিসরের হাদীস গ্রন্থসমূহের প্রকাশ ও প্রচারের সাথে সংশ্লিষ্ট কমিটির বারবার অনুরোধে أخلاق النبي صلى الله عليه وسلم وآدابه গ্রন্থখানি সম্পাদনা করে হিজরী ১৩৭৮ সনে সর্বপ্রথম প্রকাশ করেন। অতঃপর শায়খ আহমাদ মুহাম্মাদ মারসী কৃত গবেষণা ও সংযোজনসহ ১২৯১ হিজরীতে এর দ্বিতীয় সংস্করণ বের হয়। গ্রন্থখানির পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ সম্পর্কে শায়খ আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ সিদ্দীক লেখেন, আমার ভাই আবুল ফায়দ আহমাদ ইবন সিদ্দীক, শামায়েলে তিরমিযীর নির্ঘণ্ট তৈরি করেছিলেন। এ সময় তিনি জানতে পারেন হাফিয ইরাকী তাঁর تخريج أحاديث إحياء العلوم শীর্ষক গ্রন্থে আবু শায়খ ইসফাহানী রচিত أخلاق النبي صلى الله عليه وسلم وآدابه এবং ইবনুদ দাহ্হাক কৃত الشمائل গ্রন্থের খুব বেশি বরাত দিয়ে থাকেন। কাজেই তিনি এ গ্রন্থদ্বয়ের পাণ্ডুলিপি অনুসন্ধানে লেগে পড়েন। তিনি ইসকোরিয়াল গ্রন্থাগারের পাণ্ডুলিপি সুচির প্রতি চোখ বুলালে তাতে এ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপির উল্লেখ পান। সুতরাং তিনি ১৩৭৭ হিজরী দ্বিতীয়বার যখন মাদ্রিদ সফর করেন, তখন পাণ্ডুলিপির ফটোকপি লাভে সক্ষম হন। এভাবে আমি এর সংশোধন, সম্পাদনা ও মুদ্রণের সুযোগ পেয়ে যাই। যে ফটোকপির উপর আমি নির্ভর করি, তাতে অনুলিখনের তারিখ লেখা রয়েছে রবিউল আউয়াল ৫৬৬ হিজরী।
উপক্রমণিকা লেখক এ মূল্যবান গ্রন্থের সর্বপ্রথম উর্দু তরজমা করে পাঠকের সামনে পেশ করার সৌভাগ্য লাভ করছে। এ রত্নভাণ্ডার এখন গ্রন্থ আকারে উর্দুভাষীদের সম্মুখে। আমি ১৩৮৩ হিজরীতে এর তরজমার কাজ শুরু করি। প্রথম দিকে তা প্রবন্ধ আকারে মাসিক 'বায়্যিনাত'-এ প্রকাশ পেত। তখন আমার শায়খ, মুর্শিদ, মহান উস্তাদ ও যুগের ইমাম শায়খুল হাদীস মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ ইউসুফ বানুরী (র)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং আমার অপর উস্তাদ শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ নোমানী (মু.জি.)-এর সম্পাদনায় মাসিক পত্রটি প্রকাশিত হতো। তরজমার বিশুদ্ধতা ও নির্ভরযোগ্যতার জন্য এতটুকু বলাই যথেষ্ট যে, এ গ্রন্থের পুরো তরজমা হযরত আল্লামা ইমামুল আসর সায়্যিদ মুহাম্মাদ ইউসুফ বিননূরী (র) প্রশংসার চোখে দেখেন এবং মাসিক 'বায়্যিনাত'-এ প্রকাশ করার আদেশ দেন। হযরত মাওলানা ইদরীস মীরাঠী, মাওলানা আবদুর রশীদ নুমানী, মুফতী ওলী হাসান প্রমুখ উস্তাদ এর খুঁটিনাটি সব সংশোধন করে দিতে থাকেন। আল্লাহ্ তা'আলা তাদের সবাইকে উত্তম বদলা দিন।
সবশেষে আমি তাঁদের সকলের শুকরিয়া আদায় করছি, যাঁরা এই তরজমাকে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার সাহস যুগিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে আমার প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। বিশেষত শায়েখ তরীকত হযরত সায়্যিদ রাযিউদ দীন আহমাদ ফাখরী এবং আমার স্নেহাস্পদ ভাই ড. মাওলানা মুহাম্মাদ হাবীবুল্লাহ্ মুখতার-এর। আমি তাঁদের সকলের 'কাছে কৃতজ্ঞ।
আল্লাহ্ তা'আলা আমার এই তুচ্ছ মেহনত কবুল করুন। আমাদের সকলকে নববী চরিত্র ও মুহাম্মাদী গুণাবলিতে ভূষিত হওয়ার তাওফীক দিন। اللهم اهدنا لاحسن الاخلاق لا يهدى لاحسنها الا انت
—- হযরত মাওঃ আহমদ মুখতার রহঃ
মক্কা মুকাররমা।
ইফাবা অনুদিত ভূমিকা পর্ব থেকে......